অ্যান্টার্কটিকার ডেনম্যান গ্লেসিয়ার বা হিমবাহে প্রতিবছর অন্তত ৭ হাজার ৮০ কোটি টন বরফ গলে যাচ্ছে। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল সায়েন্স এজেন্সির এক গবেষণা থেকে এই তথ্য জানা গেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার কমনওয়েলথ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ অর্গানাইজেশনের (সিএসআইআরও) জ্যেষ্ঠ গবেষক এসমে ভ্যান উজ্ক জানিয়েছেন, ডেনম্যান হিমবাহ অস্থিতিশীলভাবে স্থান পরিবর্তনের ঝুঁকিতে ছিল। অ্যান্টার্কটিকার পূর্ব প্রান্তে পৃথিবীর গভীরতম গিরিখাতের ওপর অবস্থিত এই হিমবাহ।
গবেষকেরা অনুমান করেছিলেন, পশ্চিম অ্যান্টার্কটিকায় যে হারে বরফ গলছে মহাদেশটির পূর্ব প্রান্তে তুলনামূলকভাবে তার চেয়ে অনেক কম দ্রুত বরফ গলবে। তবে বিজ্ঞানীদের সেই অনুমানকে ভুল প্রমাণিত করে ওই অঞ্চলে সমুদ্রের পানি বেশ উষ্ণ হওয়ায় বরফ অনেক বেশি দ্রুত গলছে।
এদিকে, বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ফলে ২০১৬ সালে অ্যান্টার্কটিকার ৯৬৫ বর্গকিলোমিটারের হিমবাহের চাঁইয়ে চিড় ধরতে দেখেছেন গবেষকেরা। ২০২০ সালের এক রিপোর্টে জানা যায়, এক বছরে প্রায় ৫৩২ বিলিয়ন টন বরফ গলেছে গ্রিনল্যান্ড থেকে।
২০১৯ সালে গ্রিনল্যান্ডে তিন কিলোমিটারের বরফের চাঁই ভেঙে পড়েছে। তাতে স্বাভাবিকের চেয়ে ৪০ শতাংশ পানি বেড়েছিল। বরফের চাঁই গলতে শুরু করায় সেখানকার পরিস্থিতি ভয়াবহতার দিকে মোড় নিয়েছে। সমুদ্রে প্রতি সেকেন্ডে ৬টি অলিম্পিক সুইমিংপুলের সমপরিমাণ জল পড়ছে। তাতে দেখা গেছে, প্রতিদিন প্রায় ৩০ লাখ টন পানির পরিমাণ বাড়ছে।
গ্রিনল্যান্ডের বরফের চাঁই গলার পরিমাণ পর্যবেক্ষণ করে ব্রিটেনের ‘ইউনিভার্সিটি অব লিনকন’ এক গবেষণায় জানিয়েছে, ‘গ্রিনল্যান্ডের বরফ গলার কারণেই ২১০০ সাল নাগাদ বিশ্বের সমুদ্রস্তরের উচ্চতা ১০-১২ সেন্টিমিটার বাড়বে।’
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।